বেনাপোল বন্দর দিয়ে দুই বছর পর ভারত থেকে চাল আমদানি শুরু
বেনাপোল (যশোর) সংবাদদাতা
প্রকাশ: ১৮ নভেম্বর ২০২৪, ১০:৩৪ পিএম
ছবি-সংগৃহীত
বেনাপোল বন্দর দিয়ে দুই বছর পর ভারত থেকে চাল আমদানি শুরু হয়েছে। রবিবার (১৭ নভেম্বর) রাতে ভারত থেকে চালবোঝাই তিনটি ট্রাক বন্দরে ট্রান্সশিফমেন্ট ইয়ার্ডে প্রবেশ করেছে।
যশোরের মাহাবুবুল আলম ফুড প্রোডাক্ট নামের একটি আমদানিকারক প্রতিষ্ঠান প্রথম চালানে তিনটি ট্রাকে ১০৫ টন (এক লাখ ৫ হাজার কেজি) নন বাসমতি চাল আমদানি করেছেন।
আমদানিকারকের আরও ১০০ টন চাল বেনাপোল বন্দরে প্রবেশর অপেক্ষায় পাইপ লাইনে আছে। বেনাপোল বন্দর থেকে চাল খালাসের দায়িত্বে রয়েছে সিএন্ডএফ এজেন্ট হোসেন অ্যান্ড সন্স।
সিএন্ডএফ এজেন্টের ম্যানেজার জিয়াউর রহমান জানান, আমদানি করা চালের আমদানি মূল্য ৪৫ হাজার ১৫০ মার্কিন ডলার। যা বাংলাদেশি টাকায় ৫৪ লাখ ১৮ হাজার। আমদানি করা প্রতিকেজি চালের দাম পড়েছে প্রায় ৫২ টাকা। সেই সাথে রয়েছে এলসি খরচ, এক্সপোর্ট খরচ,পরিবহন, বন্দরের ভাড়া, ব্যাংক খরচসহ অন্যান্য খরচ। সেই হিসেবে প্রতিকেজি চালের মূল্য দাড়ায় ৫৫ টাকা। আজ সোমবার বিকেলে চালের চালানটি বন্দর থেকে ডেলিভারি হওয়ার কতা রয়েছে।
আমদানিকারকরা জানান, দেশের বাজারে চালের দাম বৃদ্ধি পাওয়ায় সরকার আমদানিতে শুল্ক প্রত্যাহার করে নেয়। ফলে গতকাল থেকে চাল আমদানি শুরু হয়েছে। ভারতও চাল রপ্তানিতে মূল্য উন্মুক্ত করে দেওয়ায় বাড়বে আমদানি। দেশের বাজারে দাম দ্রুত নিয়ন্ত্রণে আসবে।
বেনাপোল চেকপোস্ট উদ্ভিদ সংগনিরোধ কেন্দ্রের উপসহকারী হেমন্ত কুমার সরকার জানান, আমদানিকারক প্রতিষ্ঠান মাহাবুবুল আলম ফুড প্রোডাক্ট প্রথম চালানে ১০৫ মেট্রিক টন চালের আইপি সার্টিফিকেট নিয়েছেন। এই আমদানিকারকের আরও ১০০ মেট্রিক টন চাল বেনাপোল বন্দরে প্রবেশের কথা রয়েছে।২০২৩ সালের ২০ জুলাই দেশের বাইরে সিদ্ধ ও আতপ চাল রফতানিতে নিষেধাজ্ঞা দেয় ভারত।
বেনাপোল কাস্টমস হাউসের ডেপুটি কমিশনার রবিন্দ্র সিংহা জানান, সরকারের খাদ্য মন্ত্রনালয় গত ১১ নভেম্বর ২৪টি আমদানিকারক প্রতিষ্ঠানকে চাল আমদানির অনুমতি দেন। এরমধ্যে ১ লাখ ২০ হাজার মেট্রিক টন সিদ্ধ চাল ও ৫৫ হাজার মেট্রিক টন আতপ চাল আমদানির অনুমতি দেন। খাদ্য মন্ত্রণালয়ের শর্তে বলা হয় বরাদ্দপ্রাপ্ত আমদানিকারকদের আগামী ১০ ডিসেম্বরের মধ্যে সমুদয় চাল বাংলাদেশে বাজারজাত করতে হবে।
বেনাপোল স্থলবন্দরের উপ-পরিচালক (ট্রাফিক) সজিব নাজির জানান, রাতে বেনাপোল বন্দরে ১০৫ মেট্রিক টনের প্রখম একটি চাল আমাদনির চালান বন্দরের ট্রান্সশিপমেন্ট ইয়ার্ডে প্রবেম করেছে। কাস্টমস থেকে শুল্কায়নের পর কাগজপত্র দেখে দ্রুত ছাড় দেওয়ার জন্য মাঠ পর্যায়ের সকল কর্মকর্তাদের নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।