৩০০ আসনেই কাজ করছে জাতীয় নাগরিক পার্টি

সমাচার প্রতিদিন ডেস্ক
প্রকাশ: ০৪ মার্চ ২০২৫, ০৯:৩৬ পিএম

ছবি: সংগৃহীত
আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ৩০০ আসনে প্রার্থী দেওয়ার পরিকল্পনা নিয়ে সামনে এগিয়ে যাচ্ছে এনসিপি। দলের শীর্ষ নেতারা এখন নির্বাচনের প্রস্তুতি শুরু করতে চান, যার অংশ হিসেবে দলের গঠনতন্ত্র, স্লোগান, ঘোষণাপত্র, সাংগঠনিক কাঠামো এবং দলীয় প্রতীক নিয়ে কাজ করছেন।
দলের সিনিয়র যুগ্ম আহ্বায়ক সামান্তা শারমিন জানিয়েছেন, দলের লক্ষ্য সব আসনে প্রার্থী দেওয়া এবং এই লক্ষ্য পূরণে দলকে শক্তিশালী করতে দ্রুত গঠনতন্ত্র চূড়ান্ত করার কাজ চলছে।
তিনি আরও জানান, গঠনতন্ত্রের খসড়া প্রস্তুত হলে তা দলের অভ্যন্তরে আলোচনার মাধ্যমে চূড়ান্ত হবে এবং তাতে গণতন্ত্র, পরিবারতন্ত্রের বিরুদ্ধে রাজনীতি, জবাবদিহিতা এবং যোগ্যতার ভিত্তিতে নেতৃত্ব নির্বাচনের বিষয়গুলো গুরুত্ব পাবে।
গত ২৮ ফেব্রুয়ারি আত্মপ্রকাশ করে এনসিপি। তবে দলের আত্মপ্রকাশের আগেই দলীয় গঠনতন্ত্র চূড়ান্ত করার উদ্যোগ নেওয়া হয়েছিল বলে জানা গেছে। কিন্তু শেষ পর্যন্ত তা সম্ভব হয়নি। তবে এখন দ্রুতই গঠনতন্ত্রের খসড়া তৈরির কাজ শেষ করার উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। ইতোমধ্যেই খসড়া তৈরির কাজে যুক্তদের দেওয়া হয়েছে বিশেষ নির্দেশনাও। এতে দলের অভ্যন্তরে গণতন্ত্রের চর্চা, পরিবারতন্ত্রের বলয়মুক্ত রাজনীতি, জবাবদিহিতা নিশ্চিত করা, যোগ্যতার ভিত্তিতে নেতৃত্ব নির্বাচনসহ নানা বিষয়ের ওপর গুরুত্ব দেওয়া হচ্ছে।
জাতীয় নাগরিক পার্টির যুগ্ম আহ্বায়ক সারোয়ার তুষার বলেন, গঠনতন্ত্র তৈরির কাজ চলছে। অল্প সময়ের মধ্যেই আমরা এ সংক্রান্ত কাজ শেষ করতে চাই। কারণ নির্বাচন কমিশনে দলের নিবন্ধন করতে গঠনতন্ত্র প্রয়োজন। আমরা সেভাবেই নিজেদের কার্যক্রম এগিয়ে নিচ্ছি।
আসন্ন জাতীয় সংসদ নির্বাচন সামনে রেখে তৃণমূলকে বেশি গুরুত্ব দিতে চায় এনসিপি। তবে নবগঠিত এ দলের জেলা-উপজেলার কমিটি গঠন প্রক্রিয়া কী হবে? নতুন করে কমিটি গঠন করা হবে, নাকি তৃণমূলে গঠিত জাতীয় নাগরিক কমিটির নাম পরিবর্তন করে জাতীয় নাগরিক পার্টি করা হবে- তা নিয়ে দলটির ভেতরে আলোচনা চলছে। নেতারা বলছেন, বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন ও জাতীয় নাগরিক কমিটির নেতাদের যৌথ উদ্যোগে নতুন রাজনৈতিক দল গঠিত হয়েছে। তবে তৃণমূল পর্যায়ে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের নাম পরিবর্তনের সুযোগ নেই। কারণ বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন গণ-অভ্যুত্থানের ব্যানার। কিন্তু জাতীয় নাগরিক কমিটির নামে পরিবর্তন আসতে পারে। কার্যনির্বাহী সংসদের সভায় এ বিষয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত আসবে।