শেখ হাসিনা প্রতিশোধের রাজনীতি করেছিল : মামুনুল হক
লক্ষ্মীপুর সংবাদদাতা
প্রকাশ: ২৫ অক্টোবর ২০২৪, ০৯:৩১ পিএম
ছবি-সংগৃহীত
‘শেখ হাসিনা প্রতিশোধের রাজনীতি করেছিল। সে দেশ ও মানুষের কাছ থেকে প্রতিশোধ নিতে চেয়েছিল। এমনকি সে প্রতিশোধ নিতে চেয়েছিল তার নিজের দল আওয়ামী লীগের কাছ থেকে। তার ধারণা ছিল, ১৯৭৫ সালে তার বাবাকে খুন করেছিল এ দেশের মানুষ ও আওয়ামী লীগ। এজন্য ৫০ বছর ধরে শেখ হাসিনা প্রতিশোধের রাজনীতিই করেছে। সে অর্থ পাচার করে দেশকে একটি তলাবিহীন ঝুড়িতে পরিণত করেছে। মেগা প্রকল্পের নামে করেছে মেগা দুর্নীতি। অন্তঃসারশূন্য করে একটি পরনির্ভরশীল দেশ ও জাতিতে পরিণত করে বাংলাদেশের অস্তিত্বকে বিপন্ন করাই ছিল শেখ হাসিনার রাজনীতি।’
শুক্রবার (২৫ অক্টোবর) লক্ষ্মীপুর জেলা শহরের লিল্লাহ জামে মসজিদ প্রাঙ্গণে আয়োজিত গণসমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন বাংলাদেশ খেলাফত মজলিসের মহাসচিব মাওলানা মামুনুল হক। শাপলা চত্বরে আন্দোলন ও বৈষম্যবিরোধী ছাত্র-জনতার আন্দোলনে গণহত্যার বিচারের দাবি এবং নৈরাজ্যবাদ প্রতিরোধে খেলাফত মজলিসের ব্যানারে এ গণসমাবেশের আয়োজন করা হয়।
মামুনুল হক বলেন, শুধু জুলাই-আগস্টে ১৬৩২ জন মানুষকে অন্যায়ভাবে হত্যা করা হয়েছে। অসংখ্য মানুষ গুমের শিকার হয়েছে, তাদের লাশ সম্পর্কেও পরিবার-পরিজনদের কাছে কোনো হদিস নেই। এভাবেই স্বৈরাচারী শেখ হাসিনা বাংলাদেশের ক্ষমতার মস্তিষ্ককে আঁকড়ে ধরে রাখতে চেয়েছিল।
তিনি আরও বলেন, বিজয়ের আনন্দে আত্মহারা নয়, সবাইকে সজাগ এবং সচেতন থাকতে হবে। ষড়যন্ত্র এবং চক্রান্তের বিরুদ্ধে সবাইকে ঐক্যবদ্ধ থাকতে হবে। যারা বিগত ১৫ বছর স্বৈরাচারের দ্বারা নিপীড়িত, নিষ্পেষিত হয়েছে। যাদের দলের হাজার হাজার নেতাকর্মী গুম-খুনের শিকার হয়েছেন। তাদের সবার ঐক্য আরও বহু দিন ধরে রাখতে হবে। এখনই পারস্পরিক প্রতিদ্বন্দ্বিতা, প্রতিযোগিতায় লিপ্ত হয়ে সেই ফ্যাসিবাদকে আবার রাজনীতিতে পুনর্বাসিত হওয়ার সুযোগ দেওয়া যাবে না।
অন্তর্বর্তীকালীন সরকারকে ধন্যবাদ জানিয়ে মামুনুল হক বলেন, সন্ত্রাসী সংগঠন হিসেবে ছাত্রলীগকে নিষিদ্ধ করে প্রমাণ করেছে আওয়ামী লীগ এবং তাদের রাজনীতি ছিল সন্ত্রাসনির্ভর। তাই শুধু ছাত্রলীগ নয়, আওয়ামী লীগকেও বাংলাদেশের রাজিনীতি থেকে নিষিদ্ধ করতে হবে।
লক্ষ্মীপুর জেলা খেলাফত মজলিসের সভাপতি মাওলানা লোকমান হোসেনের সভাপতিত্বে সমাবেশে উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ খেলাফত মজলিসের যুগ্ম মহাসচিব মাওলানা জালালুদ্দিন আহমদ, মাওলানা আতাউল্লাহ আমিন, মাওলানা তোফাজ্জল হোসেন মিয়াজি, সাংগঠনিক সম্পাদক মাওলানা আজিজুর রহমান হেলাল, মাওলানা মোহাম্মাদ ফয়সাল, মাওলানা আবু সাঈদ নোমান, মাওলানা ওযায়ের আমিন ও আনম নোমান সিদ্দিকী প্রমুখ।