Logo
Logo
×

খেলা

মায়ার্স-হৃদয় ঝড়ে বরিশালের জয়

Icon

সমাচার প্রতিদিন ডেস্ক

প্রকাশ: ০৭ জানুয়ারি ২০২৫, ১০:৩৪ পিএম

মায়ার্স-হৃদয় ঝড়ে বরিশালের জয়

ছবি-সংগৃহীত

ঢাকাতে একমাত্র ম্যাচ খেলে হেরে সিলেটে সাফল্য পাওয়ার স্বপ্ন নিয়ে এসেছিল সিলেট স্ট্রাইকার্স। কিন্তু দুই ম্যাচ খেলে ফেললেও জয়ের দেখা পেলো না। টানা দুই ম্যাচ হেরে স্থানীয় দর্শকদের হতাশা উপহার দিলো আরিফুল ইসলামের দল। মঙ্গলবার আগে ব্যাটিং করে ফরচুন বরিশালের বিপক্ষে মাত্র ১২৫ রান করে সিলেট। সেই রান ৫৭ বল আগেই ৩ উইকেট হারিয়ে ছুঁয়ে ফেলে বর্তমান চ্যাম্পিয়নরা।

সিলেট আন্তর্জাতিক ক্রিকেট স্টেডিয়ামে টস জিতে স্বাগতিককে ব্যাটিংয়ের আমন্ত্রণ জানান তামিম ইকবাল। ব্যাটিংয়ে নেমে বরিশালের বোলিং আক্রমণের বিরুদ্ধে খেই হারান সিলেটের ব্যাটাররা। কোনোমতে ১২৫ রান তুলতেই তারা অলআউট হয়। ১২৬ রানের জবাবে খেলতে নেমে প্রথম বলেই তামিম সাজঘরে ফেরেন।  দ্বিতীয় ওভারে ফিরে যান নাজমুল হোসেন শান্ত (৪)।  প্রথম ম্যাচে ভালো করতে না পারা শান্ত বাদ পড়েছিলেন দুর্বার রাজশাহীর বিপক্ষে। যদিও দলের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছিল, মুশফিকুর রহিম কিপিং করতে না পারার কারণে শান্তর জায়গায় উইকেটকিপার প্রীতম কুমারকে খেলায় তারা। তবে পরের ম্যাচেই একাদশ থেকে জায়গা হারান প্রীতম। তরুণ এই ব্যাটারের জায়গায় ফেরানো হয় শান্তকে। ব্যাটিংয়ে নেমে আরও একবার ব্যর্থ হয়েছেন তিনি। দারুণ একটা বাউন্ডারি দিয়ে শুরু করলেও তানজিম সাকিবের বলে মারতে গিয়ে ক্যাচ তুলে দেন। 

৬ রানে দুই উইকেট হারানোর পর তৃতীয় উইকেটে কাইল মায়ার্স ও তাওহীদ হৃদয় মিলে ১১৬ রানের জুটি গড়েন। এই জুটিই মূলত সহজ জয়ের ভিত গড়ে দেয়। হৃদয় জয় থেকে ৪ রান দূরে থাকতে লম্বা শট খেলতে গিয়ে আউট হন। ২৭ বলে ৮ চার ও ২ ছক্কায় ৪৮ রানের ইনিংস খেলেন। মায়ার্স ৩১ বলে ৫ চার ও ৪ ছক্কায় অপরাজিত থাকেন ৫৯ রানে। সবমিলিয়ে ১০.৩ ওভারে ৩ উইকেট হারিয়ে ১২৬ রান ছুঁয়ে ফেলে তামিমের দল।

সিলেটের বোলারদের মধ্যে তানজিম হাসান সাকিব ৩৭ রানে নেন দুটি উইকেট। এছাড়া একটি উইকেট নেন রাকিম কর্নওয়াল।

এর আগে টস হেরে ব্যাটিংয়ে নেমে ইনিংসের তৃতীয় বলে রনি তালুকদার আউট হন। এ ম্যাচে প্রথমবারের মতো নামা কর্নওয়াল ভালো শুরুর ইঙ্গিত দিয়েও শেষ করতে পারেননি। ১২ বলে ৪ চারে ১৮ রান করে শাহীন শাহের বলে মাহমুদউল্লাহ রিয়াদের হাতে ক্যাচ তুলে দেন তিনি। এরপর জাকির হাসানের সঙ্গে জর্জ মানসির জুটিতে ভালো কিছুর আশা দেখতে থাকে সিলেট। নিজের প্রথম দুই ওভারে একটি উইকেট পেলেও শাহীন শাহ দেন ৩৩ রান। এই রানগুলো আসে জাকির-মানসি জুটিতে। 

যদিও তাদের এই জুটি ভেঙে যায় কিছুক্ষণ পরই। এর আগে ২৩ বলে আসে ৪৯ রান। ১৩ বলে ১ চার ও ৩ ছক্কায় ১৩ বলে ২৮ রান করে আউট হন মানসি। এরপরই যেন তাসের ঘরের মতো ভেঙে পড়ে সিলেটের ব্যাটিং। পরের ১৩ রানে ছয় উইকেট হারায় তারা। এরপর আরিফুলের ২৯ বলে ৩৬ রানের ওপর ভর করে সিলেট একশ ছাড়ায়।

বরিশালের হয়ে ৪ ওভারে ১ মেডেনসহ স্রেফ ১৫ রান দিয়ে তিন উইকেট নেন রিশাদ হোসেন। এছাড়া জাহানবাদ খান নেন আরও তিনটি উইকেট এবং ফাহিম আশরাফ দুটি ও শাহীন নেন একটি উইকেট। 

ইশা ফাউন্ডেশনের একটি প্রকাশনা

অনুসরণ করুন