পাঁচ ম্যাচ টি-টোয়েন্টি
সিরিজের প্রথমটিতে জিম্বাবুয়েকে ৮ উইকেটে হারিয়েছে বাংলাদেশ। এর আগে সবকয়টি উইকেট হারিয়ে
স্বাগতিকদের ১২৫ রানের লক্ষ্য দেয় সফরকারীরা। জবাবে খেলতে নেমে ১৫ ওভার ২ বলেই জয়ের
বন্দরে পৌঁছে যায় টাইগাররা।
শুক্রবার (৩ মে) চট্টগ্রামের
জহুর আহমেদ চৌধুরী স্টেডিয়ামে টস জিতে প্রথমে ফিল্ডিং করার সিদ্ধান্ত নেন বাংলাদেশ
অধিনায়ক নাজমুল হোসেন শান্ত।
আগে বোলিংয়ে নেমে প্রথম
ওভারে দুটি বাউন্ডারি হজম করেন শরিফুল ইসলাম। দ্বিতীয় ওভারেই স্পিন আক্রমণে নিয়ে আসেন
শান্ত। শেখ মেহেদী অধিনায়কের আস্থার প্রতিদান দিতে দেরি করেননি। নিজের দ্বিতীয় বলে
দুর্দান্ত এক টার্নিং ডেলিভারিতে অভিজ্ঞ ক্রেইগ আরভিনকে (০) বোল্ড করেন এই অফস্পিনার।
আরভিন ডিফেন্ড করেও উইকেট বাঁচাতে পারেননি। পঞ্চম ওভারে দ্বিতীয় উইকেটের দেখা পায় বাংলাদেশ।
প্রায় ১৯ মাস পর দলে ফেরা মোহাম্মদ সাইফউদ্দিন নিজের প্রথম ওভারেই উইকেটের দেখা পান।
লেগসাইডের বল ফ্লিক করতে গিয়ে শর্ট ফাইন লেগে তাসকিন আহমেদের ক্যাচ হন অভিষিক্ত জয়লর্ড
গাম্বি (১৪ বলে ১৭)।
শেখ মেহেদীর করা পরের
ওভারে জোড়া উইকেট হারায় জিম্বাবুয়ে। প্রথম বলে রানআউট হন ব্রায়ান বেনেট (১৫ বলে ১৬)।
ব্যাকওয়ার্ড পয়েন্ট থেকে মাহমুদউল্লাহর থ্রোতে উইকেট ভেঙে দেন উইকেটরক্ষক জাকের আলি।
পরের বলে অধিনায়ক সিকান্দার রাজা (০) প্যাডেল সুইপ খেলতে গিয়ে হন টার্নে পরাস্ত। বল
তার ব্যাটের কানায় লেগে চলে যায় স্লিপে লিটন দাসের হাতে। পাওয়ার প্লের ৬ ওভারে ৪ উইকেটে
৩৮ রান তুলে জিম্বাবুয়ে।
সপ্তম ওভারে এসে আবার
তাসকিন টানা দুই বলে করেন দুই শিকার। ব্যাটে লেগে ইনসাইডেজে বোল্ড হন শন উইলিয়ামস
(০)। পরের বলে রায়ান বার্ল (০) ব্যাকওয়ার্ড পয়েন্টে রিশাদকে ক্যাচ দেন। লুক জঙউইকে
(২) তুলে নেন সাইফউদ্দিন।
১৬ রানে ২ উইকেট শিকার
করেন শেখ মেহেদী। ভালো করতে পারেননি শরিফুল ইসলাম আর রিশাদ হোসেন। দুজনই ৪ ওভারে ৩৭
করে রান দিয়ে ছিলেন উইকেটশূন্য।
তবে সফরকারীদের দেয়া
লক্ষ্য তাড়া করতে নেমে বৃষ্টির কারণে চাপে পড়ে গিয়েছিল নাজমুল হোসেন শান্তর দল। সেই
চাপ উড়িয়েছেন অভিষিক্ত তানজিদ হাসান তামিম আর তাওহিদ হৃদয়। ঝোড়ো জুটিতে চট্টগ্রামে
সিরিজের প্রথম টি-টোয়েন্টিতে বাংলাদেশকে ৮ উইকেট আর ২৮ বল হাতে রেখে জয় এনে দিয়েছেন
তারা। এই জয়ে পাঁচ ম্যাচ সিরিজে ১-০ ব্যবধানে এগিয়ে গেছে স্বাগতিকরা।