ছবি-সংগৃহীত
ব্যর্থতার পাল্লা ভারী হচ্ছে নাজমুল হোসেন শান্ত ও লিটন দাসের। লিটন-শান্ত ব্যর্থতা হলেও ছন্দে আছেন তাওহীদ হৃদয়। প্রথম দুই টি-টোয়েন্টিতে হৃদয়ের উইকেটই ফেলতে পারেনি জিম্বাবুয়ে। চট্টগ্রামের জহুর আহমেদ চৌধুরী স্টেডিয়ামে আজ তৃতীয় টি-টোয়েন্টিতে তুলে নিয়েছেন আন্তর্জাতিক টি-টোয়েন্টি ক্যারিয়ারের প্রথম ফিফটি। হৃদয়কে যোগ্য সঙ্গ দিয়েছেন জাকের আলী অনিকও। প্রথমে ব্যাটিং পেয়ে বাংলাদেশ ১৬৬ রানের লক্ষ্য দিয়েছে জিম্বাবুয়েকে।
প্রথম দুই টি-টোয়েন্টিতে টস হারার পর আজ জিম্বাবুয়ে অধিনায়ক সিকান্দার রাজা। বাংলাদেশকে পাঠিয়েছেন ব্যাটিংয়ে। প্রথম তিন ওভারে কোনো উইকেট না হারিয়ে বাংলাদেশ করেছে ২২ রান। চতুর্থ ওভারে ব্লেসিং মুজারাবানি কৌশলেই লিটনকে পরাস্ত করেছেন। তৃতীয়বারের স্কুপ করতে গিয়ে উইকেট খুইয়েছেন লিটন। ১৫ বলে ২ চারে ১২ রানে আউট হয়েছেন বাংলাদেশের ওপেনার।
তিন নম্বরে ব্যাটিংয়ে নেমে দারুণ শুরুর ইঙ্গিত দেন শান্ত। তবে বাংলাদেশ অধিনায়ক ইনিংস বড় করতে পারেননি। ওভারটির চতুর্থ বলে শান্তকে বোল্ড করেন রাজা। ৪ বলে ১ চারে ৬ রান করেন বাংলাদেশ অধিনায়ক। লিটন-শান্তর বিদায়ে বাংলাদেশের স্কোর হয়ে যায় ৪.৪ ওভারে ২ উইকেটে ২৯ রান।
চারে ব্যাটিংয়ে নামেন হৃদয়। ওপেনার তানজিদ হাসান তামিমের সঙ্গে হৃদয়ের জুটিটা জমে উঠতে থাকে। তখনই বাদ সাধেন ফারাজ আকরাম। নবম ওভারের শেষ বলে টাইমিংয়ে গড়বড় হওয়া বল ডিপ মিড উইকেটে তালুবন্দী করেছেন ক্লাইভ মাদান্দে। ২২ বলে ১ চার ও ১ ছক্কায় তানজিদ তামিম করেন ২১ রান। ৯ ওভারে ব্যাটিংয়ে নামেন জাকের।
চতুর্থ উইকেটে জুটি গড়ার শুরুতে জাকেরকে নিয়ে সাবধানে এগোতে থাকেন হৃদয়। এরই মধ্যে ১১তম ওভারের প্রথম বলে রাজাকে চার মারেন জাকের। জিম্বাবুয়ে অধিনায়কের ওপরই চড়াও হয়েছেন হৃদয় ও জাকের। ১৩তম ওভারে রাজার ওভার থেকে বাংলাদেশ নেয় ১৬ রান। রান তোলার গতি বাড়াতে থাকেন হৃদয় ও শান্ত। ১৪ থেকে ১৬—এই তিন ওভারে বাংলাদেশ মেরেছে তিন চার ও এক ছক্কা। যেখানে জাকের মারেন দুই চার। একটি করে চার ও ছক্কা মারেন হৃদয়।
আন্তর্জাতিক টি-টোয়েন্টির প্রথম ফিফটি হৃদয় তুলে নিয়েছেন ৩৪ বলে। ১৮তম ওভারের প্রথম বলে জংগুয়েকে কাভারে ঠেলে ফিফটি পেয়ে যান হৃদয়। চতুর্থ উইকেটে ৫৮ বলে ৮৭ রানের জুটি গড়েন হৃদয় ও জাকের।১৯তম ওভারের তৃতীয় বলে হৃদয়কে বোল্ড করেন মুজারাবানি। ৩৮ বলে ৩ চার ও ২ ছক্কায় হৃদয় করেন ৫৭ রান। একই ওভারের পঞ্চম বলে জাকেরকে অসাধারণ এক ডেলিভারিতে বোল্ড করেন মুজারাবানি। জাকের অবশ্য ফিফটি পাননি। ৩৪ বলে ৩ চার ও ২ ছক্কায় জাকের করেন ৪৪ রান। ৪ ওভারে ১৪ রানে ৩ উইকেট—জিম্বাবুয়ের সেরা বোলার তিনিই। শেষ ওভারে ৩ চারে বাংলাদেশ ২০ ওভারে করেছে ৫ উইকেটে ১৬৫ রান। ফারাজ আকরামের করা ওভার থেকে একটি চার মারেন রিশাদ ও মাহমুদউল্লাহ মারেন ২ চার।