চ্যাম্পিয়ন বরিশাল
কুমিল্লা ভিক্টোরিয়ানসকে হারিয়ে বিপিএলের নতুন রাজা হয়েছে বরিশাল। শুক্রবার ফাইনালে সর্বোচ্চ ৪ বারের চ্যাম্পিয়নদের ৬ উইকেটে হারিয়ে প্রথমবারের মতো চ্যাম্পিয়ন হয়েছে তারা।
২০২২ বিপিএলে কুমিল্লার কাছেই ১ রানে হেরে শিরোপা বঞ্চিত হয়েছিল তারা। এবার তাদের হারিয়েই শিরোপা উদ্যাপন মেতেছেন তামিম ইকবাল-মুশফিকুর রহিমরা। তামিমের দল চ্যাম্পিয়ন হওয়ায় বিপিএলের ইতিহাসে বরিশালের কোনো ফ্র্যাঞ্চাইজি প্রথম শিরোপাও জিতল। এবারের আগে সব মিলিয়ে তিনবার ফাইনালে খেলে প্রতিটিতেই হেরেছিল বরিশালের ফ্র্যাঞ্চাইজিরা।
১৫৫ রানের লক্ষ্যে ব্যাটিংয়ে দুর্দান্ত শুরু পায় চ্যাম্পিয়নরা। উদ্বোধনী জুটিতেই ৭৬ রান তোলেন দুই ওপেনার তামিম ও মেহেদী হাসান মিরাজ। দুজনের ব্যাটিং তাণ্ডবে তখন কুমিল্লার খেলোয়াড়দের হতাশ চেহারা ক্যামেরার লেন্সে বারবার ধরা পড়ছিল। বিশেষ করে অধিনায়ক লিটন দাসের। ৩৯ রান করে যখন তামিম আউট হলেন তখনো খুশি ছিলেন না লিটন।
মঈন আলির করা প্রথম ওভারের শেষ বলকে ডাউন দ্য উইকেটে এসে মারতে গিয়ে বোল্ড হন তামিম। ২৬ বলে সমান ৩ চার ও ৩ ছক্কার সাজানো ইনিংসটির মৃত্যু ডেকে আনেন। তার আগে ৪৯২ রান নিয়ে এবারের টুর্নামেন্টের সর্বোচ্চ রান সংগ্রাহকও হন তিনি।
বরিশালের অধিনায়কের বিদায়ের পর দ্রুত ফিরে যান আরেক ওপেনার মিরাজও। বাংলাদেশি অলরাউন্ডারও আউট হন মঈনের ফিরতি ওভারেই।
নিজের তৃতীয় ওভারে আরেকটি উইকেটের সুযোগ সৃষ্টি করেছিলেন মঈন। তবে লং অফে কাইল মায়ার্সের কঠিন ক্যাচটা ধরতে পারেননি বদলি ফিল্ডার রিশাদ হোসেন। বাংলাদেশের লেগ স্পিনার যখন ক্যাচ মিস করেন তখন বরিশালের রান ছিল ২ উইকেটে ৯৬ রান। পরে জীবন পেয়ে ১৫ তম ওভারে স্বদেশি রাসেলকে সমান দুটি চার ও ছক্কা মেরে ২০ রান নিয়ে ম্যাচ প্রায় শেষ করে দেন মায়ার্স।
দল যখন জয় থেকে ১৪ রান দূরে তখনই মোস্তাফিজুর রহমানের বলে আউট হন মায়ার্স। ড্রেসিংরুমে ফেরার আগে ৩০ বলে ৪৬ রানের ঝোড়ো ইনিংস খেলেন।
১৮ বলে ১১ রানের সমীকরণটা মিলিয়ে নেন বরিশালের মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ (৭) ও ডেভিড মিলার (৮)। ৬ বল হাতে রেখে ৬ উইকেটের জয়ে প্রথমবার চ্যাম্পিয়ন হয় বরিশাল।
এর আগে টস হেরে ব্যাটিংয়ে নেমে ৬ উইকেটে ১৫৪ রান সংগ্রহ করে কুমিল্লা।